ad section

   

বজ্রপাত থেকে রক্ষা পেতে কিছু করণীয়


বাংলাদেশে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বজ্রপাতে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়েই চলেছে। উন্নত বিশ্বে বজ্রপাত একটি সাধারণ বিষয় হলেও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে, বিশেষ করে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও ভুটানে এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি। পরিসংখ্যান মতে, বর্তমানে বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা বিশ্বে বাংলাদেশেই বেশি। বজ্রপাতে প্রতিবছর যতজন মারা যায় তার এক-চতুর্থাংশ মারা যায় বাংলাদেশে। পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, গত আট বছরে দেশে বজ্রপাতে নিহত হয়েছে এক হাজার ৮৭৮ জন। বন্যা, সাইক্লোনসহ অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষেত্রে কিছুটা প্রস্তুতি নেওয়ার সময় ও সুযোগ থাকলেও বজ্রপাতের বিষয়টি ভূমিকম্পের মতোই প্রাকৃতিক এবং অতি আকস্মিক একটি বিষয়। তাই বজ্রপাতের হাত থেকে বাঁচতে সচেতনতার বিকল্প নেই।

বজ্রপাত আসলে কী বা কিভাবে সৃষ্টি হয়? সাধারণত জলীয় বাষ্প ঘনীভূত হয়ে মেঘে পরিণত হয় এবং এতে প্রচুর স্থির বৈদ্যুতিক চার্জ জমা হয়। এই মেঘের দুটি তল থাকে; একটি তল থাকে নিচের দিকে অর্থাৎ ভূপৃষ্ঠের দিকে (‘-’ ঋণাত্মক আয়নযুক্ত) এবং অন্যটি ওপরের দিকে তথা মহাকাশের দিকে (‘+’ ধনাত্মক আয়নযুক্ত)। যখন মেঘের নিচের তলে ঋণাত্মক আয়নের আধিক্য ঘটে তখন এই আয়নগুলো স্বাভাবিকভাবেই কোনো ধনাত্মক আয়নের দিকে ছুটে যেতে চাইবে। এর ফলে মেঘের ঋণাত্মক আয়ন যেমন ভূপৃষ্ঠের ধনাত্মক আয়নের দিকে ছুটে আসে, তেমনি ভূপৃষ্ঠের ধনাত্মক আয়নগুলোও মেঘের ঋণাত্মক আয়নগুলোর দিকে দ্রুতগতিতে ধাবিত হয়। আয়নগুলো একে অপরের সংস্পর্শে এলে আলো জ্বলে ওঠে এবং মেঘের ইলেকট্রনগুলো দ্রুত ভূপৃষ্ঠে চলে যায়। ঋণাত্মক আর ধনাত্মক আয়নগুলোর এই সংঘর্ষ বা সংস্পর্শকেই বজ্রপাত বলে।

বজ্রপাতের শাব্দিক অর্থ হচ্ছে ভূপৃষ্ঠে বজ্র (বাজ বা চার্জ) পতিত হওয়া। তবে বজ্রপাত যে সব সময় ভূমিতে পতিত হয়, তা কিন্তু নয়। একটি মেঘের ধনাত্মক কিংবা ঋণাত্মক চার্জের সঙ্গে অন্য মেঘের ঋণাত্মক কিংবা ধনাত্মক চার্জের অথবা একই মেঘের নিজস্ব ধনাত্মক ও ঋণাত্মক চার্জের মধ্যেও হতে পারে। বজ্রপাতের সময় বাতাসের মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয়, যদিও বাতাস বিদ্যুৎ অপরিবাহী। মেঘে জমে থাকা স্থির বৈদ্যুতিক চার্জ অতি উচ্চ বিভবশক্তি (১০ মিলিয়ন ভোল্ট পর্যন্ত) উৎপন্ন করে, যা বাতাসের একটি সরু চ্যানেলকে আয়নিত করে বিদ্যুত্প্রবাহের জন্য রাস্তা তৈরি করে দেয়। ইলেকট্রন যাওয়ার সময় প্রচুর পরিমাণে শক্তি নির্গত হয় এবং তীব্র আলোকচ্ছটা তৈরি করে। স্বল্প সময়ে বাতাসের তাপমাত্রা ও চাপের ব্যাপক পরিবর্তন চারপাশের বায়ুমণ্ডলকে প্রচণ্ড গতিতে সম্প্রসারিত করে, যার ফলে বিকট শব্দের সৃষ্টি হয়। শব্দের গতি আলোর গতির চেয়ে কম হওয়ায় আমরা শব্দ কিছুটা পরে শুনতে পাই।

বজ্রপাত থেকে রক্ষা পেতে কিছু করণীয়

১. উঁচু গাছপালা বা বিদ্যুতের খুঁটিতে বজ্রপাত হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। তাই এসব স্থানে আশ্রয় নেওয়া যাবে না। উঁচু গাছ থেকে কমপক্ষে চার মিটার দূরে অবস্থান করতে হবে। তবে নিকটবর্তী পাকা দালানের নিচে আশ্রয় নেওয়াই শ্রেয়।

২. ধানক্ষেত বা খোলা মাঠে থাকলে তাড়াতাড়ি কানে আঙুল দিয়ে নিচু হয়ে বসে চোখ বন্ধ রাখতে হবে। তবে কোনো অবস্থায়ই মাটিতে শুয়ে পড়া যাবে না। কারণ মাটিতে শুয়ে পড়লে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

৩. খোলা মাঠ, বাড়ির ছাদ বা উঁচু কোনো স্থান থেকে দূরে থাকতে হবে। গবাদি পশুকে খোলা মাঠে রাখা যাবে না।

৪. বজ্রপাতের সময় ঘরের বারান্দা ও জানালার কাছাকাছি থাকা যাবে না। জানালা বন্ধ রেখে ঘরের ভেতরে অবস্থান করতে হবে। এ সময় বাড়ির ধাতব কল, সিঁড়ির রেলিং, পাইপ ইত্যাদি স্পর্শ থেকে বিরত থাকতে হবে; এমনকি ল্যান্ডফোনও স্পর্শ করা যাবে না।

৫. বজ্রপাতের সময় বিদ্যুত্চালিত যন্ত্রের ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। বৈদ্যুতিক সংযোগযুক্ত সব যন্ত্রপাতি, বিশেষ করে টিভি, ফ্রিজ ইত্যাদি বন্ধ করা থাকলেও স্পর্শ করা যাবে না। বজ্রপাতের আভাস পেলে প্লাগ খুলে বিদ্যুৎ সংযোগ থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করতে হবে। অব্যবহৃত যন্ত্রপাতির প্লাগ আগেই খুলে রাখতে হবে।

৬. বজ্রপাতের সময় গাড়ির ভেতরে থাকলে কোনো কংক্রিটের ছাউনির নিচে দ্রুত পার্ক করা উচিত এবং গাড়ির ভেতরের ধাতব বস্তু স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

৭. বজ্রপাতের সময় নদী বা জলাশয় থেকে মাছ ধরা বন্ধ রাখতে হবে এবং জলাশয় বা জলাবদ্ধ স্থান থেকে দূরে সরে যেতে হবে। কারণ পানি বিদ্যুৎ পরিবাহী। নৌকায় অবস্থান করলে দ্রুত ছইয়ের নিচে অবস্থান নিতে হবে। নৌকায় ছই না থাকলে নিচু হয়ে পাটাতনে অবস্থান নিতে হবে।

৮. বজ্রপাতের সময় চামড়ার ভেজা জুতা বা খালি পায়ে থাকা খুবই বিপজ্জনক। এ সময় বিদ্যুৎ অপরিবাহী রাবারের জুতা সবচেয়ে নিরাপদ।

৯. লোকালয় থেকে দূরে উন্মুক্ত কোনো স্থানে বাড়ি বানানো যাবে না। বাড়ি থেকে নিরাপদ দূরত্বে তাল, নারিকেল, সুপারিগাছ লাগানো উচিত।

১০. বাড়িকে নিরাপদ রাখতে বজ্রনিরোধক যন্ত্র লাগাতে হবে এবং সেই সঙ্গে আর্থিংয়ের ব্যবস্থা রাখতে হবে।

১১. বজ্রপাতে আহত কাউকে বৈদ্যুতিক শকে আহতদের মতোই চিকিৎসা করাতে হবে। দ্রুত চিকিৎসকের কাছে বা হাসপাতালে নিতে হবে। সেই সঙ্গে আহত ব্যক্তির শ্বাস-প্রশ্বাস ও হৃত্স্পন্দন ফিরিয়ে আনার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।

জলবায়ু পরিবর্তন ও বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণেই মূলত এমন অস্বাভাবিক বজ্রপাতের ঘটনা বেশি ঘটছে। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে বজ্রপাতে প্রাণহানির ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে চলেছে। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বজ্রপাতের বেশির ভাগ শিকারই প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষক, শ্রমিক ও তাদের পরিবারের সদস্যরা। বাংলাদেশের আকাশে সাধারণত মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত বজ্রমেঘ দেখা যায়। তাই বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা কমিয়ে আনার জন্য বনায়ন সৃষ্টির পাশাপাশি প্রান্তিক পর্যায়ে সচেতনতা সৃষ্টি সবচেয়ে জরুরি।

'Poor Khloé!' Kim Kardashian breaks silence on Tristan Thompson cheating scandal: 'It's so f***ed up'


Kim Kardashian has addressed the Tristan Thompson cheating scandal for the first time. On this coming Monday’s episode of The Ellen DeGeneres Show, the KKW beauty mogul has some choice words about the sad situation.

“Poor Khloé,” she says. “Like, I don’t even know how to describe it besides it’s just so f***ed up.”

Earlier this month, it was revealed that the Cleveland Cavaliers basketball player cheated on Khloé Kardashian multiple times while she was pregnant. The reality star gave birth to their first child, daughter True, just days after learning he was unfaithful.

“We really were rooting for Khloé — and we still are,” Kim adds. “She’s so strong and she’s doing the best that she can. It’s really a sad situation all over.”

This is the first time anyone from the famous family has spoken publicly about the scandal. (Both Khloé and Thompson have remained silent.) While Kim acknowledges the incident, she won’t bash the NBA star.

“I kind of made this rule with my brother — if there’s a baby involved, I’m going to keep it cute, keep it classy, and not talk too bad,” she says, referring to the drama between Rob Kardashian and Blac Chyna. “I’m going to try not to say anything so negative because one day, True is going to see this.”

Still, she says, “It’s just so messed up.”

Khloé welcomed True Thompson on April 12. Reports are all over the place as to the fate of the couple’s relationship, but sources tell Yahoo Entertainment that they are trying to work things out.

“She’s trying to forgive him,” says one insider. “They’re making progress.”

A second source confirms this, adding, “Tristan is really trying to win back Khloé’s trust. He wants them to be a family.”

Khloé is still in Cleveland despite her family’s wishes for her to return to Los Angeles with True. It doesn’t sound like she’s leaving anytime soon.

Michelle Pfeiffer in Talks to Join Angelina Jolie in ‘Maleficent 2’ (EXCLUSIVE)


Michelle Pfeiffer is in advanced talks to join Disney’s sequel of its hit “Maleficent,” starring Angelina Jolie and Elle Fanning.

Ed Skrein is also on board to join the cast, with “Pirates of the Caribbean: Dead Men Tell No Tales” helmer Joachim Ronning set to direct.

If a deal closes, Pfeiffer is on board to play the queen in the movie.

Joe Roth is producing the film, with Jez Butterworth and Linda Woolverton penning the latest script. Micah Fitzerman-Blue and Noah Harpster wrote the most recent draft.

It is not clear where this film will pick up following the first movie, which was based on the fairy tale “Sleeping Beauty.” The original story centered on an evil fairy who cursed an infant princess to eternal sleep, only to realize the young girl was the only one who could save the kingdom from its dangerous ruler. “Maleficent” broke several box office records on its way to making $758.5 million worldwide.

Production on the sequel is set to start in 2018.

After taking some time off, Pfeiffer has been busy in the past year, starting with her Emmy-nominated role in the HBO movie “Wizard of Lies,” where she played Bernie Madoff’s wife, Ruth. She followed that up with scene-stealing roles in Darren Aronofsky’s “Mother!” and “Murder on the Orient Express.”

Pfeiffer can be seen next in Marvel’s “Ant-Man and the Wasp,” her first comic-book role since her famous turn as Catwoman in “Batman Returns.”

She is repped by CAA and Management 360.

শাকিব-শুভশ্রী অভিনীত ছবি ‘চালবাজ’ ১০৫টি প্রেক্ষাগৃহে


চলচ্চিত্রটির মধ্য দিয়ে দর্শকরা ফের হলমুখী হবেন বলে মনে করছেন প্রদর্শক সমিতির সভাপতি ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী নওশাদ।
“সিনেমা হলে দর্শক নেই। হলগুলো বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। চলতি বছরে শাকিব খান অভিনীত ‘আমি নেতা হবো’-চলচ্চিত্রের পর ‘চালবাজ’ নিয়ে আশার আলো দেখছেন হল মালিকরা।
আজ আমার হল মধুমিতাসহ বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে দুটি শো হাউজফুল গেছে। নাইট শোটিও যদি পরিবেশ প্রতিকূল না হয় হাউজফুল যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। আমরা আশা করছি এ ছবিটি সুপারহিট হবে। রোজার আর দুই সপ্তাহ বাকি আছে। তার আগে ‘চালবাজ’ দিয়েই হলে ফিরবে দর্শক।”
শাকিব খান-শুভশ্রী অভিনীত কলকাতার ছবি ‘চালবাজ’ নিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন প্রদর্শক সমিতির সভাপতি ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী নওশাদ।
তার মতে, বছরের শুরুতে ‘আমি নেতা হবো’ চলচ্চিত্রটি ছাড়া এ বছর তেমন কোনো ছবি দর্শক গ্রহণ করেন নি। যার ফলে লোকশানের মুখে পড়েছেন প্রেক্ষাগৃহ মালিকরা।
চলতিবছর মুক্তিপ্রাপ্ত উল্লেখযোগ্য আলোচিত চলচ্চিত্রগুলো হলো ‘আমি নেতা হব’, ‘পাষান’, ‘মাটির প্রজার দেশে’, ‘নূরজাহান’, ‘বিজলী’, ‘পলকে পলকে তোমাকে চাই’, ‘একটি সিনেমার গল্প’ ও ‘স্বপ্নজাল’।
অধিকাংশ ছবিই আশা জাগিয়েও হতাশ করেছে হল মালিকদের। কিছু কিছু চলচ্চিত্র দর্শকমহলে প্রশংসিত হলেও আশানুরূপ দর্শক টানতে পারেনি হলে।
দেশীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাস সৃষ্টিকারী ‘মনপুরা’খ্যাত নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিমের প্রত্যাবর্তনের বছর হলেও দর্শক টানতে ব্যর্থ হয়েছে তার দ্বিতীয় চলচ্চিত্র ‘স্বপ্নজাল’।
দর্শকমহলে প্রশংসিত হলেও প্রেক্ষাগৃহে চলচ্চিত্রটি পৌঁছাতে না পারায় পরিবেশকদেরই দায়ী করেছেন নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিম।
তবে, এ ইস্যুতে পরিবেশকদের দুষতে নারাজ ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ।
তার মতে, “সেলিমের প্রত্যাবর্তন আমাদেরও আশা জাগিয়েছিল। কিন্তু তার ছবি যদি দর্শক টানতে না পারে তাহলে আমাদের কী করার আছে। ছবি হিট হলে আমাদের চালাতে প্রবলেম কোথায়?”
সিনেমা হল বাঁচাতে যৌথপ্রযোজনা ও সাফটা চুক্তির ইস্যুতে চলচ্চিত্র পরিবারের নানা কর্মকাণ্ডের দিকে দিকে ইঙ্গিত করে নওশাদ বলেন, “এফডিসিতে বসে নেতাগিরি করলে হল বাঁচবে না।”
ভারতীয় ছবি হিসেবে বিতর্কিত সাফটা চুক্তির ‌‘চালবাজ’ সিনেমাটি বাংলাদেশে আমদানি করছে এন ইউ ট্রেডার্স।
ছবিটি পরিচালনা করেছেন জয়দীপ মুখার্জী। পহেলা বৈশাখে মুক্তির কথা থাকলেও নানা জটিলতার মুখে পড়ে চলচ্চিত্রটি মুক্তি পিছিয়ে যায়।
গত সপ্তায় কলকাতায় মুক্তির পর চলতি সপ্তাহে দেশের বড়পর্দায় মুক্তি পেলো চলচ্চিত্রটি।
এর আগে শাকিব-শুভশ্রী’র ‘নবাব’ চলচ্চিত্রটি ব্যবসাসফল হয়েছিল বাংলাদেশে।

বিশ্ব একাদশে খেলবেন সাকিব-তামিম


গত বছর ক্যারিবিয়ানে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত স্টেডিয়ামগুলোর সংস্কারের জন্য বিশেষ এই টি-টোয়েন্টি ম্যাচের আয়োজন করছে আইসিসি। আগামী ৩১ মে লর্ডসে এই ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রতিপক্ষ বিশ্ব একাদশ।
বিশ্ব একাদশকে নেতৃত্ব দেবেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক ওয়েন মর্গ্যান। সাকিব ও তামিম ছাড়াও বিশ্ব একাদশে খেলা নিশ্চিত করেছেন পাকিস্তানের শহিদ আফ্রিদি, শোয়েব মালিক, শ্রীলঙ্কার থিসারা পেরেরা ও আফগানিস্তানের রশিদ খান।
আইসিসি জানিয়েছে, বিশ্ব একাদশের হয়ে আরও অনেক নামী ক্রিকেটারের খেলা নিশ্চিত হবে শিগগিরই।
পাকিস্তানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরানোর উদ্যোগের অংশ হিসেবে গত সেপ্টেম্বরে আয়োজিত সিরিজে লাহোরে বিশ্ব একাদশে খেলেছিলেন তামিম। সেই দলের নেতৃত্বে ছিলেন ফাফ দু প্লেসি। সেই দলেও ছিলেন পেরেরা। খেলেছিলেন হাশিম আমলা, ডেভিড মিলার, ইমরান তাহির, ড্যারেন স্যামিরা।
কার্লোস ব্র্যাথওয়েটের নেতৃত্বে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের নামও ঘোষিত হয়েছে কদিন আগে। ক্রিস গেইল, মারলন স্যামুয়েলসরা তো আছেনই, এই ম্যাচ দিয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরবেন নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরা অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেল।
গত বছর হারিকেন আরমা ও মারিয়ায় ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। অ্যান্টিগার স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়াম, ডমিনিকার উইন্ডসর পার্কসহ মোট ৫টি স্টেডিয়ামকে সাহায্য করা হবে এই চ্যারিটি ম্যাচ থেকে পাওয়া অর্থে।

অভিনেত্রী নাবিলার গায়ে হলুদ আজ

অভিনেত্রী মাসুমা রহমান নাবিলার আজ গায়ে হলুদ। আগামী ২৬ এপ্রিল বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হচ্ছেন। ইতোমধ্যে বিয়ের প্রস্তুতিও সম্পন্ন হয়েছে তার। সেই ধারাবাহিকতায় আজ  সোমবার সন্ধ্যায় হচ্ছে তার গায়ে হলুদ।
ঘোষণা দিয়েই পছন্দের পাত্র জোবাইদুল হককে বিয়ে করছেন নাবিলা। সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানের একটি কনভেনশন সেন্টারে তাদের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান হবে বলে জানান নাবিলা। সেখানে উপস্থিত থাকবেন বর-কনে পক্ষের সদস্যরা।
আগামী ২৬ এপ্রিল বিয়ে। এরপর বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের পরের দিন নবদম্পতি উড়াল দেবেন যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টারে। তবে হানিমুনে নয়, বরং বর জোবাইদুল হকের প্রাতিষ্ঠানিক কাজে সঙ্গ দিতেই সেখানে যাচ্ছেন এই তারকা অভিনেত্রী।

সুপ্রিম কোর্টে সালমান খানের আরজি

'বাল্মিকী' ইস্যুতে হিন্দু জাতীয়তাবাদী ব্রাহ্মণদের ভীষণ খেপিয়ে দিয়েছিলেন বলিউড সুপারস্টার সালমান খান। আর তারই ফলশ্রুতিতে তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়।
একটি রিয়েলিটি শোতে তিনি ও শিল্পা শেঠি বাল্মিকী বিষয়ে 'অসদাচরণ' করেন বলে অভিযোগ করে ওই সম্প্রদায়। একে একে চারটি এফআইআর করা হয় তাঁর বিরুদ্ধে। এগুলো করা হয় রাজস্থান, দিল্লি, গুজরাট ও মুম্বাইয়ে। 
আর, এই 'এফআইআর' বিষয়টি থেকেও মুক্তি চান 'ভাইজান' সালমান খান। তাই তিনি দ্বারস্থ হয়েছেন সর্বোচ্চ আদালতের। প্রধানত সেখানে তিনি রাজস্থানের চুরুতে বাল্মিকী যুব সংস্থা কর্তৃক দায়েরকৃত এফআইআর-এর বিষয়ে আরজি জানান। এই আইনি বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসতে সর্বোচ্চ আদালতের কাছে এই এফআইআর রদ বা স্থগিত করার বিষয়ে আরজি পেশ করেন তিনি। 
এখন দেখার বিষয়, অন্যান্য আদালতের মতো সর্বোচ্চ আদালতও সালমানের প্রতি সদয় হন কি-না।
সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া        

'সিনেমায় বোল্ড লুকে এলেও স্বামী কিছু বলবে না'

সিনেমার স্বার্থে অভিনেতা-অভিনেত্রীদের অনেক ক্ষেত্রেই সাহসী রূপে পর্দায় হাজির হতে হয়। আবার কেউ বা স্রেফ প্রচারের লোভেই বিবসনা হতে কার্পণ্য করেন না। ট্যাবু ভাঙতেও কেউ কেউ বোল্ড লুকে ধরা দেন। ক্যারিয়ারের জন্য তা হয়তো বিশেষ গুরুত্বের দাবি রাখে। কিন্তু তার কী প্রভাব পড়ে অভিনেত্রীর পরিবারের ওপর? তাদের পরিবার-পরিজনদের ওপর? সে প্রশ্ন অনুচ্চারিতই থেকে যায়। এবার সে ব্যাপারেই সরব হলেন অভিনেত্রী সুরভিন চাওলা।
খুব বেশি ছবিতে দেখা যায়নি সুরভিনকে। ছোটপর্দায় ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন একতা কাপুরের হাত ধরে। তারপর যখন যেমন সুযোগ হয়েছে বড় পর্দাতেও কাজ করেছেন। হিন্দির পাশাপাশি পাঞ্জাবি ও তেলুগু ভাষার ছবিতেও কাজ করেছেন। ভবিষ্যতে আরও কাজ করবেন। ছবির চরিত্রেই বুঝিয়ে দিয়েছেন সাহসী হতে তার আপত্তি নেই। সেটাই যে তার দর্শন তা খোলসা করে দিলেন অভিনেত্রী নিজেই। সম্প্রতি কেপ টাউনে স্বামীর সঙ্গে ছুটি কাটাচ্ছেন সুরভিন।
বিয়েটা করেছিলেন লুকিয়ে। ২০১৫ সালে ইতালিতে গিয়ে চুপিচুপি বিয়ে করেন তিনি। কিন্তু ২০১৭ সালের শেষ পর্যন্ত এই তথ্য গোপন রেখেছিলেন। অর্থাৎ সুরভিন যে বিবাহিত, তা ইন্ডাস্ট্রির হাতেগোনা কয়েকজন লোক ছাড়া আর কেউ জানত না। এখন প্রকাশ্যে এসেছে সুরভিনের বিয়ের অ্যালবামের নানা ছবি। সঙ্গত কারণেই প্রশ্ন উঠেছে, এরপরেও সুরভিন সাহসী হয়ে উঠতে পারবেন তো? উত্তরে সুরভিন বললেন, ওসব কোনো ব্যাপারই না। ছবির প্রয়োজনে তিনি সহ-অভিনেতাকে চুমুও খেতে পারেন। কিংবা বিবসনাও হতে পারেন। তা নিয়ে তার স্বামী কিছু মনে করবেন না।
সুরভিনের দাবি, বিবাহিত অভিনেত্রীদের সম্পর্কে ইন্ডাস্ট্রি একটা ছকবাঁধা ধারণা নিয়ে বসে থাকে। তারা এই করতে পারবেন, ওই করতে পারবেন না এসব যেন পূর্ব নির্ধারিত হয়ে যায়। সেই ছকই ভাঙতে চান তিনি। বিবাহিত অভিনেত্রীরাও যে চরিত্রের প্রয়োজনে যে কোনো কাজ করতে পারেন, সেটা প্রমাণ করে দিতে চান তিনি। একই কথা কিছুদিন আগে বলেছিলেন রানি মুখার্জীও। ধরে নেওয়া হয়, বিবাহিতা অভিনেত্রী মানেই তিনি আর বক্স অফিসে তেমন সাফল্য বয়ে আনতে পারেন না। নিজের জন্মদিনে এই বৃত্ত ভাঙার ডাক দিয়েছিলেন রানি। অনেকটা সেই সুর শোনা গেল সুরভিনের মুখেও।

রজনীকান্তের 'কালা' আসছে ৭ জুন

মুক্তির তারিখ পেছাল রজনীকান্তের বহুল প্রতীক্ষিত তামিল গ্যাংস্টার মুভি 'কালা'র। এ মাসের ২৭ তারিখ প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির কথা ছিল ছবিটির। তবে তা পিছিয়ে এবার ৭ জুন নতুন তারিখ ঘোষণা করেছে ছবিটির নির্মাতাগোষ্ঠী।
ছবিটির এই নতুন তারিখ ট্যুইটার হ্যান্ডেলে প্রকাশ করে রজনীকান্তের জামাতা ও ছবিটির প্রযোজক ধানুষ লেখেন, এটা জানাতে আনন্দিত হচ্ছি যে মহাতারকার কালা আগামী ৭ জুন পৃথিবীব্যাপী অনেকগুলো ভাষায় মুক্তি পেতে যাচ্ছে।
২০১৬ সালের ব্লকবাস্টার 'কাবালি'র পর এটা সুপারস্টার রজনীকান্ত ও তারকা পরিচালক রণজিৎ এর দ্বিতীয় কাজ। 
ছবিটিতে এক দুর্ধর্ষ ডন চরিত্রে রূপদান করবেন রজনীকান্ত। এতে আরো আছেন হুমা কোরেশী, নানা পাটেকার ও অঞ্জলী পাতিল। ছবিটির অসাধারণ সংগীত পরিচালনা করেছেন সন্তোষ নারায়ণ।
সূত্র : ডেকন ক্রনিকল  

দরিদ্র বালক থেকে খ্যাতির চূড়ায় : চার্লি চ্যাপলিন


চলচ্চিত্রের ইতিহাসে যে অভিনেতা সম্পর্কে ‘আইকনিক’ বিশেষণটি প্রয়োগ করা যায়, তিনি হলেন চার্লি চ্যাপলিন – গান্ধী, রবীন্দ্রনাথ বা আইনস্টাইন যার ‘ফ্যান’ ছিলেন। চ্যাপলিনের ‘ট্র্যাম্প’ বা ভবঘুরে চরিত্রটি আজও সারা বিশ্বে জনপ্রিয়।
হরিষে বিষাদ
কালো মোচ, কালো টুপি, হাতে বেত, পায়ে অতি পুরনো বুটজুতো আর পাতিহাঁসের মতো চলন – দেখলেই মানুষজন বুঝবেন, হয় চ্যাপলিন, নয়তো চ্যাপলিনের নকল। চ্যাপলিন তাঁর ট্র্যাম্প বা ভবঘুরে চরিত্রে প্রথম আবির্ভূত হন ১৯২১ সালে, ‘দ্য কিড’ ছবিতে। হাসিঠাট্টা আর বিষণ্ণতা, ভাঁড়ামো আর হতাশা মিলে এক অদ্ভুত রস সৃষ্টি হয়েছে এই অদ্ভুত চরিত্রটিতে।
প্রথমে দারিদ্র্য, পরে খ্যাতি ও বিত্ত
চার্লস স্পেন্সার চ্যাপলিনের জন্ম ১৮৮৯ সালে, খুব সম্ভবত লন্ডনে। তিনি পরলোকগমন করেন ১৯৭৭ সালে, সুইজারল্যান্ডে। দারিদ্র্যের মধ্যে জন্ম ও শৈশব, কাজেই চ্যাপলিন জানতেন, দারিদ্র্য ও হতাশার মধ্যে মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে তার আশা ও স্বপ্ন। এর হাস্যকর দিকটা আবার ফুটে উঠেছে তাঁর ‘গোল্ড রাশ’-এর মতো ছবিতে (১৯২৫): একদিকে ক্ষুধা, অন্যদিকে ঐশ্বর্য – ও সুখাদ্যের – স্বপ্ন।
নির্বাক থেকে সবাক
চ্যাপলিনের বহু ছবি নির্বাক ছায়াছবির যুগের। সাইলেন্ট ফিল্ম থেকে ‘টকিজ’-এ তাঁর উত্তরণ ১৯৩১ সালে, ‘সিটি লাইটস’ ছবিটিতে। তবে সবাক ছবি চ্যাপলিনের কোনোদিনই বিশেষ ভালো লাগেনি। তাই তিনি নির্বাক ছবি তৈরি চালিয়ে যান, আবার প্রয়োজনে সংলাপও ব্যবহার করেছেন। তবে তাঁর পেটোয়া ছিল তাঁর চোখমুখের অভিব্যক্তি, তাঁর হাঁটাচলা, যা পূর্বাপর চ্যাপলিনের ট্রেডমার্ক থেকে যায়।
চার বার বিয়ে
মহিলাদের হৃদয় জয় করতে চ্যাপলিনের জুড়ি ছিল না। কিন্তু তাঁর নিজের পছন্দ ছিল তাঁর চেয়ে অনেক কম বয়সের মহিলাদের – যা নিয়ে কেলেংকারিও কম হয়নি, দুর্নাম হয়েছে যেমন যুক্তরাষ্ট্রে, তেমনই চ্যাপলিনের স্বদেশ ইংল্যান্ডে। ছবিতে চ্যাপলিনের দ্বিতীয় স্ত্রী, টিনেজ অভিনেত্রী লিটা গ্রে চ্যাপলিনকে উভয়ের দুই সন্তানের সঙ্গে দেখা যাচ্ছে, ১৯৩১ সালে।
সমাজদর্পণ
সিনেমায় চ্যাপলিন যে চরিত্রগুলিতে অভিনয় করেছিলেন, আধুনিক পরিভাষায় তাদের বলে ‘আন্ডারডগ’ বা নীচের তলার মানুষ, নিজের বুদ্ধি ও চাতুর্যের উপর নির্ভর করে যাদের জীবনসংগ্রাম চালিয়ে যেতে হয়। ‘আন্ডারডগ’ বলতে কিন্তু ‘লুজার’ বা হেরো বোঝায় না। হেরোকেই হিরো করে তুলেছিলেন চ্যাপলিন। আবার ‘মডার্ন টাইমস’-এর মতো ছবিতে (১৯৩৬) ফুটে উঠেছে ‘আধুনিক’ যন্ত্রসভ্যতা ও তার হৃদয়হীনতা সম্পর্কে চ্যাপলিনের সমালোচনা।
হিটলার ক্ষমতায় থাকতে হিটলারকে নিয়ে ছবি!
১৯৪০ সালে মুক্তি পায় ‘দ্য গ্রেট ডিক্টেটর’, যে ছবিতে হিটলার ও নাৎসিদের খোলাখুলি ব্যঙ্গ করেছেন চ্যাপলিন। খোদ হিটলার নাকি ছবিটি একাধিকবার দেখেছিলেন। চ্যাপলিন অবশ্য পরে বলেছেন, নাৎসি বন্দিশিবিরের বিভীষিকার কথা জানা থাকলে তিনি ছবিটি করতে পারতেন না।
পাদপ্রদীপের আলোয়
‘লাইমলাইট’ ছবিটি প্রথম মুক্তি পায় লন্ডনে, ১৯৫২ সালে। এর স্বল্প আগে চ্যাপলিনের মার্কিন মুলুকে আসা নিষিদ্ধ হয়েছিল, তিনি কমিউনিস্ট ও ভ্রষ্টাচারি সন্দেহে – যুক্তরাষ্ট্র্রে তথাকথিত ‘ম্যাককার্থি আমলে’ যা বহু বুদ্ধিজীবীর কপালে জুটেছিল। ‘লাইমলাইট’ ছবিতে চ্যাপলিন মঞ্চাভিনেতা হিসেবে তাঁর নিজের অভিজ্ঞতা থেকে অনেক কিছু নিয়েছেন।
শেষ ছবিটিই ফ্লপ
চ্যাপলিন দশ বছর ধরে কোনো ছবি না করার পর, ১৯৬৭ সালে মুক্তি পায় তাঁর ‘এ কাউন্টেস ফ্রম হংকং’ ছবিটি। মার্লন ব্র্যান্ডো ও সোফিয়া লোরেনের মতো তারকারা থাকা সত্ত্বেও ছবিটি বক্স অফিসে ফ্লপ করে। চ্যাপলিন তাঁর জীবনের শেষ দশকগুলি কাটিয়েছেন সুইজারল্যান্ডে – এই সময়ে শুধুমাত্র একবার যুক্তরাষ্ট্র্রে ফিরেছিলেন তিনি, ১৯৭২ সালে, একটি সাম্মানিক অস্কার গ্রহণ করার জন্য।
চার্লি চ্যাপলিন অমর রহে!
ঠিক চ্যাপলিন নয়, তবে তাঁর সৃষ্ট সেই ট্র্যাম্প বা ভবঘুরে চরিত্রটি বোধহয় বিজ্ঞাপনের জগতের প্রথম বেওয়ারিশ কিন্তু বিশ্বায়িত প্রতীক: কাজেই সব রকমের পণ্য বা বিজ্ঞাপনে চ্যাপলিনের মুখ দেখে অভ্যস্ত আমরা। কস্টিউম বল বা কার্নিভালে চ্যাপলিন সাজেন অনেকে – সার্কাসের ভাঁড়দের মধ্যে চ্যাপলিনের ছোঁয়া আজও সর্বত্র।
কিংবদন্তি
কিংবদন্তির নায়ক, আবার নিজেই কিংবদন্তি বিংশ শতাব্দীর ইতিহাসে অনধিকার প্রবেশ করে শেষমেষ সেই ইতিহাস জুড়ে থাকা এই মানুষটি – নিজের স্থান-কাল-পাত্রের সীমানা অতিক্রম করে কবে মহাকালের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছেন। চ্যাপলিন বিশেষজ্ঞ লিজা স্টাইন হাফেন যেমন বলেছেন, চ্যাপলিন হলিউডের তারকা ছিলেন না, কারণ হলিউড তখন সৃষ্টিই হয়নি।’
সূত্র-ডিডাব্লিউ

বিশ্ব একাদশের হয়ে আফ্রিদিরা খেলবেন


  • ৩১ মে মুখোমুখি হবে বিশ্ব একাদশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ
  • লর্ডসে হবে এই চ্যারিটি ম্যাচ
  • ম্যাচ থেকে প্রাপ্ত অর্থ খরচ করা হবে পাঁচটি স্টেডিয়ামের পুনর্গঠনে
পাকিস্তান দলের জার্সিতে শহীদ আফ্রিদির চেহারা অনেকেই ভুলতে বসেছেন। তবে ক্রিকেট বিশ্ব এ তাঁকে ভোলেনি, সেটা জানিয়ে দেওয়া হলো আবার। আইসিসির বিশ্ব একাদশে জায়গা পেয়েছেন এই অলরাউন্ডার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের জন্য সৃষ্ট এই বিশ্ব একাদশে আফ্রিদির সঙ্গী শোয়েব মালিক ও থিসারা পেরেরা। 
গত বছর হারিকেন ইরমা ও মারিয়ার তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ক্যারিবীয় অঞ্চলের বেশ কিছু স্টেডিয়াম। এর মাঝে পাঁচটি স্টেডিয়াম পুনর্গঠনের জন্য তহবিল সংগ্রহ করা হচ্ছে। সে উদ্দেশ্যেই আগামী ৩১ মে লন্ডনে একটি চ্যারিটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের আয়োজন করা হয়েছে। সে ম্যাচেই কার্লোস ব্রাফেট, ক্রিস গেইল, মারলন স্যামুয়েলসদের মুখোমুখি হবেন আফ্রিদি-মালিকরা। বিশ্ব একাদশের জন্য ডাকা তারকা ক্রিকেটারদের মধ্যে ইংলিশ অধিনায়ক এউইন মরগানের নামও আছে। তবে আফ্রিদি, মালিক ও পেরেরাই এখনো পর্যন্ত ম্যাচটি খেলার ব্যাপারে নিশ্চয়তা দিয়েছেন।

এ চ্যারিটি ম্যাচে ডাক পেয়ে উল্লসিত আফ্রিদি বলেছেন, ‘এত মহান একটি ব্যাপারে নির্বাচিত করায় আমি ধন্য। ক্রিকেট একটি বিশাল পরিবারের মতো, একে অপরের বিপক্ষে যতই প্রতিদ্বন্দ্বিতাই করি না কেন, আমাদের মধ্যে বন্ধনটা অনেক দৃঢ়। এ কারণেই আমাদের নৈতিক ও পেশাদার দায়িত্ববোধ থেকেই যখনই সুযোগ আসে, আমাদের সব সদস্য, খেলোয়াড় এবং সমর্থকদের সাহায্য করা উচিত।’
এ ম্যাচের টিকিট অনলাইনে এখনই পাওয়া যাচ্ছে লর্ডসের ওয়েবসাইটে।

টিভিতে বিশ্বকাপ দেখতে চান না নেইমার

নেইমারকে নিয়ে উৎকণ্ঠায় তো পুরো ব্রাজিল এবং বিশ্বজুড়ে আরও অনেক ফুটবলপ্রেমী। চোট কাটিয়ে পুরো ফিট হয়ে বিশ্বকাপে খেলতে পারবেন তো নেইমার? সাও পাওলোয় সংবাদ সম্মেলনে নির্দিষ্ট করে কিছু বলতে পারেননি নেইমার নিজেও। ১৭ মে চূড়ান্ত পরীক্ষা, তারপর জানা যাবে বিশ্বকাপে খেলতে পারবেন কি না ব্রাজিল দলের প্রাণভোমরা।
একটা সুসংবাদের অপেক্ষায় কোচ তিতে। অপেক্ষায় ব্রাজিল দলে তাঁর সতীর্থরাও। আর শুধু কোচ কিংবা দল কেন, নেইমারকে নিয়ে উৎকণ্ঠায় তো পুরো ব্রাজিল এবং বিশ্বজুড়ে আরও অনেক ফুটবলপ্রেমী। চোট কাটিয়ে পুরো ফিট হয়ে বিশ্বকাপে খেলতে পারবেন তো নেইমার?
না, সাও পাওলোয় সংবাদ সম্মেলনে নির্দিষ্ট করে কিছু বলতে পারেননি নেইমার নিজেও। তবে আশার কথা শুনিয়েছেন। তাঁর পায়ের পাতার চোটের চূড়ান্ত পরীক্ষা হতে পারে ১৭ মে। নেইমার আশাবাদী, ওই পরীক্ষায় ভালো কিছুই আসবে। বাড়িতে বসে টেলিভিশনে বিশ্বকাপ দেখতে হবে না তাঁকে।
গত ফেব্রুয়ারিতে লিগ ওয়ানে মার্শেইয়ের বিপক্ষে ম্যাচে ডান পায়ের পাতার পঞ্চম মেটাটারসাল ভেঙে যায় নেইমারের। অস্ত্রোপচারও হয়েছে। তখনই বলা হয়েছিল, অন্তত আড়াই মাস লাগবে এটা সারতে। তা চোট নিয়ে শুধু শুয়ে-বসে দিন কাটাতে কারই বা ভালো লাগে! প্রায়ই এই অনুষ্ঠান ওই অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন। পরশু যেমন ক্রাচে ভর দিয়েই চলে গেলেন সাও পাওলোতে ব্রাজিল দলেরই এক পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানের সংবাদ সম্মেলনে। সেখানেই নিজের চোটের সর্বশেষ অবস্থা জানালেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড, ‘এখনো কোনো নির্দিষ্ট তারিখ ঠিক হয়নি। আমার একটা চূড়ান্ত পরীক্ষা আছে। যদি আমি ভুল না করে থাকি, এটা মে মাসের ১৭ তারিখে হতে পারে। আশা করছি, ওতে ভালো কিছু আসবে। এরপর দেখা যাক কী হয়। এটা নির্ভর করছে কীভাবে আমি সেখান থেকে উন্নতি করি।’
দায়িত্ব নেওয়ার পর কোচ তিতে ব্রাজিল দলটাকে এমনভাবে গুছিয়ে এনেছেন, তাঁর হাতে এখন অনেক বিকল্প। কিন্তু তাঁরা কেউই যে আসলে নেইমারের বিকল্প হতে পারেন না, সেটাও খুব সোজা ভাষাতেই স্বীকার করেছেন ব্রাজিল কোচ। কিছুদিন আগেই বলেছেন, ‘নেইমারের কোনো বিকল্প হয় না। যেমন আমার হাতে ডগলাস কস্তা আছে। কিন্তু কস্তা তো আর নেইমার নয়। সে খেলবে কস্তার মতো।’
বিশ্বকাপে ব্রাজিলের নেইমারকে লাগবে-এটা খুব ভালো করেই জানেন কিংবদন্তি পেলেও। অধীর আগ্রহে তাঁর সুস্থতার খবরের অপেক্ষায় তাই ফুটবলের রাজাও, ‘আমার মনে হয়, বিশ্বকাপের আগেই সে ফিট হয়ে যাবে, কারণ চোটটা এত খারাপ মনে হচ্ছে না। আশা করছি, ওর বিশ্বকাপ-ভাগ্যটাও আমার মতো হবে।’
ভাগ্যটা তিনটি বিশ্বকাপজয়ী পেলের মতো হতে হলে তো আগে বিশ্বকাপে থাকতে হবে। ১৪ জুন শুরু হতে যাওয়া বিশ্বকাপে ব্রাজিল প্রথম ম্যাচ খেলবে ১৭ জুন, সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে রোস্তভে। মানে, নেইমারের চোটের চূড়ান্ত পরীক্ষার ঠিক এক মাস পর। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এই লড়াইয়ে জিততে পারবেন নেইমার? ব্রাজিল ফরোয়ার্ড হেসে উত্তর দিয়েছেন, ‘আশা করছি, বিশ্বকাপ টিভিতে দেখতে হবে না। আমি তৈরি হওয়ার মতো যথেষ্ট সময়ই পাব।’
আপাতত পোকার আর ভিডিও গেমস খেলে সময় কাটছে। যেটা নিয়ে তাঁকে দুই দিন আগেই খোঁচা দিয়েছেন সাবেক ফরাসি ফরোয়ার্ড ক্রিস্টোফ ডুগারি। গত রোববারই মোনাকোকে ৭-১ গোলে হারিয়ে পাঁচ ম্যাচ বাকি থাকতেই ফরাসি লিগ শিরোপা নিশ্চিত করেছে নেইমারের ক্লাব পিএসজি। তবে সেই উদ্যাপনে যোগ দিতে যাননি নেইমার। ওটা দেখেই পিএসজির প্রতি নেইমারের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন ডুগারি। নেইমারের কানে সেই কথা গেছে কি না, জানা যায়নি। তবে কেন যেতে পারেননি সেটা পরশু সংবাদ সম্মেলনেই বলেছেন ২৬ বছর বয়সী ব্রাজিলিয়ান, ‘আমার দল গোল করছে, সতীর্থরা শিরোপা উদ্যাপন করছে, আর আমি সেখানে থাকতে পারছি না, এটা আমার কাছে খারাপ লাগছে। কিন্তু আমার স্বাস্থ্যের কথা তো সবার আগে ভাবতে হবে।’
নেইমার সবার আগে নিজের স্বাস্থ্যের কথা ভাবুন, এটা বোধ হয় পিএসজিও চায়। এই মৌসুমে না হোক, আগামী মৌসুমে তো তাঁকে লাগবে পিএসজিরও।

তাসকিন-সৌম্যদের পাশে মাশরাফি


বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ পড়ছেন ছয় ক্রিকেটার। বাদ পড়া ক্রিকেটারদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। বাংলাদেশ ওয়ানডে অধিনায়ক জানালেন, তাঁরা যেন আবারও ছন্দ ফিরে পান, সব সহায়তাই দলের সিনিয়র খেলোয়াড়েরা করবেন।
বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের সভা শেষে আনুষ্ঠানিকভাবেই কাল জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ পড়ছেন তাসকিন আহমেদ, সৌম্য সরকার, সাব্বির রহমান, ইমরুল কায়েস, মোসাদ্দেক হোসেন ও কামরুল ইসলাম। মাশরাফি বিন মুর্তজা আজ জানালেন, তাসকিন-সৌম্যরা যেন আবারও ফিরে আসেন, সব সহায়তাই তাঁরা করবেন।
বিসিবির চুক্তি থেকে একসঙ্গে ছয় ক্রিকেটারের বাদ পড়াটা একটু ব্যতিক্রমই। তাঁদের বাদ পড়ার ব্যাখ্যা হিসেবে বিসিবির মিডিয়া কমিটির প্রধান কাল বলেছেন, এই ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স চুক্তিতে রাখার জন্য যথেষ্ট নয়। আজ দুপুরে রাজধানীর এক হোটেলে আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইপিডিসির সঙ্গে নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশনের এক চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে একসঙ্গে ছয় ক্রিকেটারের বাদ পড়া নিয়ে মাশরাফির কাছে তাঁর প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হয়েছিল।
বিসিবির চুক্তিতে থাকা নিয়ে মাশরাফি প্রথমে নিজের ভাবনার কথাটাই বললেন, ‘প্রথমত, যত দিন ধরে খেলছি, বেতনের ভেতর আছি কি নেই, এসব নিয়ে ভাবিনি। আমার কাছে এটা কখনোই পরিষ্কার নয়। আমার সব সময়ই প্যাশন ছিল ক্রিকেট খেলা। ওই প্যাশন নিয়ে ক্রিকেট খেলছি।’
একজন খেলোয়াড়ের জীবনে বিসিবির চুক্তিতে থাকা, বেতনভুক্ত হওয়ার প্রভাব কতটা, সেটিও বললেন মাশরাফি, ‘বেতন একজন খেলোয়াড়ের জন্য অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। দেশের বেশির ভাগ খেলোয়াড় এসেছে মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে। পরিবারের ওপর বেতন বা তার খেলার বিরাট প্রভাব থাকে। তবে সিদ্ধান্তটা বোর্ডের। কজনকে বেতন দেবে না দেবে এটা তাদের সিদ্ধান্ত। একটা খেলোয়াড়ের জন্য বেতন (চুক্তিতে থাকা) গুরুত্বপূর্ণ। একই সময়ে তাকে ততটুকু আবেগ দিয়েও খেলতে হবে। আমার বিশ্বাস, সবাই সেভাবে খেলছে। পারফরম্যান্স সব সময়ই একই গ্রাফে চলে না। কারও কখনো ভালো যায়, কারও কখনো খারাপ। বেতনের বিষয়টা নির্ভর করে পারফরম্যান্সের ওপর, এটাও সত্য।’
বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ পড়াটা একজন ক্রিকেটারের জন্য অবশ্যই বড় ধাক্কা। মাশরাফি জানালেন, বাদ পড়া ক্রিকেটাররা যেন এ ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে পারে তাঁরা সব সহযোগিতাই করবেন, ‘তারা বাংলাদেশ দলের সত্যিকারের ভবিষ্যৎ, তাদের সমর্থন করা আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব। আমার জায়গা থেকে আমি পিছপা হব না। যত প্রকার সমর্থন দেওয়ার তাদের দেব। জানি বাংলাদেশের এত বেশি বিকল্প খেলোয়াড় নেই। ধারাবাহিকতা বাড়িয়ে যদি তারা ফর্মে ফিরে আসে, লম্বা সময় ধরে তারা বাংলাদেশকে সেবা দিতে পারবে। একসময় সাকিব-তামিম বা আমরা এমনই ছিলাম। বলতে পারেন, ওই সময় প্রতিদ্বন্দ্বিতা এতটা ছিল না বলে আমরা টিকে গেছি। তাদের কাছে প্রত্যাশাটা অনেক। একটু খারাপ করলেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সোচ্চার হয়ে ওঠে। ক্রিকেট খেলাটা এখন অনেক কঠিন হয়ে গেছে। ছোটখাটো বিষয়ে অনেক বেশি সমালোচনা হয়। ২২-২৩ বছর বয়সে এত সমালোচনা নিয়ে ধারাবাহিক ভালো খেলা অনেক চ্যালেঞ্জিং। কারও বেড়ে ওঠাও তো এত পেশাদারির মধ্যে হয় না। আমরা সিনিয়ররা যারা আছি, তাদের সহযোগিতা করব। তাদেরও চেষ্টা করতে হবে, তারা যেন নিজেদের সেরা ফর্মে আসতে পারে।’
বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ পড়া মানে জাতীয় দলের দরজা বন্ধ হয়ে যাওয়া নয়। চুক্তির বাইরে থেকেও খেলা যায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। সৌম্য, তাসকিন, সাব্বিরদের সামনে সে সুযোগ থাকছে। এই সুযোগ কাজে লাগাতে হলে তাঁদের সামনে একটা পথই খোলা, ধারাবাহিক ভালো খেলা।

হলিউডের ছবিতে রাধিকা আপ্তে


বলিউডে ঠিক ঝকমকে ক্যারিয়ার নয় অভিনেত্রী রাধিকা আপ্তের। অভিনয় দিয়েই নিজেকে প্রমাণ করেছেন সিনেপাড়ায়। গুণী শিল্পী হিসেবে পেয়েছেন স্বীকৃতি। পূর্ণদৈর্ঘ্য থেকে স্বল্পদৈর্ঘ্য-অভিনয় নিয়ে এসেছে তাঁকে আলোচনায়। সেই গুণেই এবার রাধিকার অভিষেক হতে যাচ্ছে হলিউডের সিনেমায়।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার গল্প নিয়ে তৈরি হবে রাধিকা অভিনীত প্রথম হলিউড চলচ্চিত্রটি। রাধিকাকে এতে দেখা যাবে সে সময়কার এক গুপ্তচরের চরিত্রে। তাঁর সঙ্গে দেখা যাবে ‘ক্যাসেল’ ক্রাইম সিরিজ-খ্যাত অভিনেত্রী স্টানা কেটিক এবং ইকুইটি ছবির তারকা সারাহ মেগান থমাসকে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার কয়েকজন গুপ্তচরের জীবনকে কেন্দ্র করে এই চলচ্চিত্রের গল্প। এই গুপ্তচরেরা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিলের গোপন সেনাবাহিনীর সদস্য ছিলেন।

হলিউড-যাত্রার খবরটি এসেছে রাধিকার কাছ থেকেই। টুইটারে এই ছবিসংক্রান্ত একটি খবর শেয়ার করে রাধিকা লেখেন, ‘আগামী প্রকল্প।’ ছবির নাম এখনো চূড়ান্ত হয়নি। বলিউডে রাধিকার শেষ ছবি প্যাডম্যান, বিপরীতে ছিলেন অক্ষয় কুমার। নেটফ্লিক্সের একটি ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন সাইফ আলী খান ও নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকীর সঙ্গে। তা ছাড়া ব্রিটিশ চলচ্চিত্রকার উইন্টারবটমের চলচ্চিত্র দ্য ওয়েডিং গেস্ট-এর জন্যও প্রস্তুত এই অভিনেত্রী। সেখানে পর্দা ভাগাভাগি করছেন দেব প্যাটেলের সঙ্গে। বলিউড হাঙ্গামা।

বিয়ে হবে গাড়ি কিনলেই: নুসরাত ফারিয়া


উপস্থাপনা থেকে চলচ্চিত্রে নাম লিখিয়েই আলোচিত নুসরাত ফারিয়া। জাজ মাল্টিমিডিয়ার প্রযোজনায় ‘আশিকী’ ছবিতে অভিনয় করে নায়িকা তকমা পেয়ে যান তিনি। ২০১৫ সালে মুক্তি পাওয়া এই ছবির পর থেকে টানা চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন তিনি। তাঁর অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত ছবির নাম ইন্সপেক্টর নটি কে’। এরপর নতুন কোনো ছবিতে অভিনয়ের খবরে নেই ফারিয়ার। হঠাৎ করেই খবর, নায়িকা নুসরাত ফারিয়া গায়িকা হয়ে আসছেন। গানের বাইরে ছবির কাজের খবর জানতে আজ বুধবার দুপুরে কথা হয় তাঁর সঙ্গে, জানালেন এখনকার ব্যস্ততা ও জীবন নিয়ে আগামীর ভাবনার কথা।
নতুন কোনো ছবিতে অভিনয়ের খবরে নেই আপনি!
এ বছর জানুয়ারিতে মুক্তি পায় ‘ইন্সপেক্টর নটি কে। এই ছবির পর ১৬টি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব পেয়েছি। কোনোটিই আমার সঙ্গে যায় না বলেই ছবিগুলোতে কাজ করতে চাইনি। এর মধ্যে আবার একটি ছবির কাজ শুরু করার সবকিছু চূড়ান্ত হলেও শেষ মুহূর্তে আর শুরুই হয়নি। পুরো প্রকল্পটি বাতিল হয়ে যায়।
জাজ মাল্টিমিডিয়ার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার কারণে আপনার সব কাজ এই প্রতিষ্ঠান দ্বারা নিয়ন্ত্রণ হতো। সেই চুক্তি এখনো আছে?
জাজ মাল্টিমিডিয়ার সঙ্গে আমার পাঁচ বছরের চুক্তি ছিল। তিন বছর পার হয়েছে। আরও দুই বছর বাকি আছে। তবে আমার ক্ষেত্রে চুক্তির শর্ত অনেক শিথিল করা হয়েছে। আমি এখন অন্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও কাজ করতে পারব।
চলচ্চিত্রের অনেকেই বলছেন, জাজ মাল্টিমিডিয়ায় নতুন নায়িকার আগমনে আপনি নাকি ছিটকে পড়েছেন?
এটা একদমই ঠিক না। পুরোপুরি বানোয়াট। ২০১৫ সাল থেকে আমি জাজ মাল্টিমিডিয়ার সঙ্গে কাজ শুরু করেছি। এই সময়ে প্রতিষ্ঠানটি যত ছবি বানিয়েছে, সব ছবিতে আমি একা কাজ করিনি। আরও অনেকে করেছেন। আমার ভালো লাগার গল্পে আমি কাজ করেছি।
ছবির কাজ যেহেতু কম, কীভাবে সময় কাটছে?
আমি এখন পড়াশোনায় মনোযোগী হয়েছি। সামনে আমার এলএলবি দ্বিতীয় বর্ষের চূড়ান্ত পর্বের পরীক্ষা।
আপনি তো ব্যবসায় প্রশাসন নিয়ে পড়াশোনা করছিলেন?
ঠিকই ধরেছেন। আমি এআইইউবিতে বিবিএ নিয়ে নবম সেমিস্টার পর্যন্ত পড়েছি। ছবির শুটিংয়ের কারণে পড়াশোনায় অনেক ব্যাঘাত ঘটেছে। আবার যখন পড়াশোনার কথা চিন্তা করলাম, তখন ভাবলাম অন্য কোনো বিষয়ে পড়ি। এ ক্ষেত্রে আমার পছন্দ ছিল এলএলবি।
ভবিষ্যতে আইন বিষয়ে ক্যারিয়ার গড়ার চিন্তা করছেন?
একদমই তাই। আমি কাজপাগল মানুষ। পরিবারকে সময় দিতে হবে। পরিবারের কাছে আসতেই হবে। সত্যি কথা বলতে, আমাদের দেশে এখন চলচ্চিত্র নিয়ে সুযোগ-সুবিধা কম। বাইরের দেশে সবাই দীর্ঘমেয়াদি চিন্তা করতে পারেন, কারণ সেখানে সুযোগ-সুবিধা অনেক বেশি। ওদের ওখানে প্রশংসাও বেশি পাওয়া যায়, মর্যাদাও পায়। দিন শেষে আমরা সবাই টাকার জন্য কাজ করি। খ্যাতির পাশাপাশি অবশ্যই অর্থনৈতিক নিরাপত্তাও জরুরি, যা এই মাধ্যমে কাজ করে এখন আমাদের এখানে অতটা নেই। চিন্তা করে যদি দেখি, বাইরের দেশে এই ব্যাপারগুলো নিয়ে ভাবতে হয় না। ওরা অর্থনৈতিকভাবে নিজেদের নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যেতে পারে। আমাদের এখানে কাজ করার সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আমি আমার জীবন নিয়ে অনেক আশাবাদী। ১০ বছর কাজ করব, এরপর সংসার করব—এটা খুবই কষ্টসাধ্য। সবকিছু ভেবে আমি আইন বিষয় বেছে নিয়েছি। পড়াশোনা নিয়মিত চালিয়ে এ বিষয়ে ক্যারিয়ার গড়তে চাই।
চলচ্চিত্রের জন্য শুধু পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটেছে আপনার?
ব্যাঘাত ঘটেছে ঠিক, তবে লাভও হয়েছে। কাজ করে আমি যা উপার্জন করেছি, তা পড়াশোনায় ইনভেস্ট করছি। নিজের টাকায় নিজে পড়াশোনা করছি।
পরিবারের জন্য কোনো খরচ?
এখন পর্যন্ত মা-বাবা আমার কাছ থেকে কিছুই চায় না। কিন্তু আমি ওদের জন্য কিছু না কিছু করার চেষ্টা করি।
গানের খবর বলুন।
২৬ এপ্রিল ঢাকায় আসার আগের দিন কলকাতায় আমার গানের প্রকাশনা অনুষ্ঠান হবে। ‘পটাকা’ গানটি যদি অনেক সফল হয়, দর্শকের ভালোবাসা পায়, তবেই গানে নিয়মিত হব। এই গান অনেক মানুষের কাছে ছড়িয়ে দিতে আমার নানা পরিকল্পনা রয়েছে।
বিয়ে নিয়ে কোনো পরিকল্পনা আছে?
আমি সাজানো গোছানো একটি মেয়ে। শুধু পাত্রটাই এখনো খুঁজে পাইনি। আমার জীবনের সবকিছুই সাজানো গোছানো, শুধু পাত্রটা ছাড়া। আমার মনে হয়, সঠিক সময়ে সঠিক কাজ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেক নানাভাবে চাপ দেবে হয়তো, কিন্তু সময়ের চাহিদা ভিন্ন। সময়ের চাহিদা বুঝতে পারা খুব কঠিন। যেটা অনেকে বুঝতে পারে, অনেকে পারে না। আমি সেই ভাগ্যবানদের একজন, যাঁর জীবনে সঠিক সময়ে সঠিক কাজটাই হয়েছে। বিয়েটাও সময়মতো হয়ে যাবে।
পরিবার থেকে কোনো চাপ নেই?
না, আব্বু-আম্মু বিয়ের বিষয়ে একদম চাপ দেন না। আমি তো বাইরের দেশে গিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করেছি। আমি সফল হয়েছি। সে জন্য যখন একের পর এক পদক্ষেপ নিচ্ছি, আমার আব্বু-আম্মু খুশি।
সেই সঠিক সময় কবে আসবে?
যেদিন আমি একটা ‘অডি’ গাড়ি কিনে ফেলব, সেদিনই বিয়ে করে ফেলব। আমি যেদিন এই গাড়ি কিনতে পারব, সেদিন প্রায় সব লক্ষ্য শেষ। আমার ৪০০-৫০০ কোটি টাকার মালিক হওয়ার ইচ্ছা নেই, কিন্তু নিজের জন্য একটি অডি গাড়ি চাই। আমার সন্তানদের বলতে পারব, তোমার মা উপস্থাপনা করেছে, নায়িকা ছিল, গান গেয়েছে, নেচেছে আর অডি গাড়ি কিনে বিয়ে করেছে।
অডি গাড়ির সঙ্গে বিয়ের সম্পর্ক কী?
এই যেমন মানুষের ইচ্ছে হয় ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, করপোরেট ব্যক্তিত্ব হবে, বিষয়টি তেমনই। আমার এখন পর্যন্ত যত ইচ্ছে ছিল, সব অর্জন করেছি। এই মুহূর্তে আমার চিন্তা একটি অডি গাড়ি কেনা। আমার আরেকটু স্বাবলম্বী হওয়া মনে করতে পারেন।

আর্জেন্টিনাকে ভালোবাসেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো


মেসি-রোনালদো দ্বৈরথের এক যুগ হতে চলল। ব্যালন ডি’অর কিংবা ফিফার বর্ষসেরার পুরস্কারের অনুষ্ঠানের মঞ্চ কিংবা এল ক্লাসিকো ছাড়া দুজনের খুব একটা দেখা হয় না। দুজনের মধ্যে পারস্পরিক সম্মান থাকলেও খুব একটা হৃদ্যতা নেই সেটা দুজনই স্বীকার করেছেন। তবে অনেকেরই ধারণা, লিওনেল মেসির দেশ বলে আর্জেন্টিনাকে সহ্য হয় না ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর। কিন্তু আজ রোনালদো জানালেন ভিন্ন কিছু, আর্জেন্টিনাকে ভালোবাসেন রোনালদো!

সবাই জানে রোনালদোর বান্ধবী জর্জিনা রদ্রিগেজ স্প্যানিশ নাগরিক। কিন্তু জর্জিনা যে আর্জেন্টাইনও। আর ভালোবাসার মানুষের সুবাদেই আর্জেন্টিনার প্রতি রোনালদোর ভালোবাসা। ইনস্টাগ্রামে লাইভ ভিডিওতে ভক্তদের প্রশ্নের উত্তরে এমনটাই জানালেন, ‘আমার বান্ধবী আর্জেন্টাইন। অনেকেই মনে করেন আমি আর্জেন্টিনাকে পছন্দ করি না। কিন্তু আমি আর্জেন্টিনাকে পছন্দ করি, খুব পছন্দ করি।’

জর্জিনাও সবার দ্বিধা কাটাতে সাহায্য করলেন, ‘আমার মা স্প্যানিশ হলেও বাবা আর্জেন্টিনার। আমার জন্ম হয়েছে বুয়েনস এইরেসে। বাবা আমার মাকে রাজি করার অনেক চেষ্টা করেছিল আর্জেন্টিনায় স্থায়ী হতে কিন্তু পারেননি।’

মুস্তাফিজের বিবর্ণ দিনে মুম্বাইয়ের প্রথম জয়


মুম্বাইয়ে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে ৪৬ রানে হারিয়েছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার রাতে মুম্বাই ২০ ওভারে করেছিল ২১৩। বেঙ্গালুরু থমকে গেছে ১৬৭ রানে।

৪ ওভারে বোলিং করে ৫৫ রান গুনেছেন মুস্তাফিজ। হজম করেছেন চারটি করে চার ও ছক্কা। কুইন্টন ডি কক, বিরাট কোহলিরা তো বটেই, মুস্তাফিজকে এদিন ছক্কা মেরেছেন লোয়ার অর্ডারে মোহাম্মদ সিরাজও।

ব্যাট হাতে এদিন জ্বলে উঠেছেন দুই দলের অধিনায়কই। ৫২ বলে ৯৪ করেছেন মুম্বাই অধিনায়ক রোহিত শর্মা। ওপেন করতে নেমে শেষ পর্যন্ত ৬২ বলে ৯২ রানে অপরাজিত বিরাট কোহলি। তবে রোহিতের পাশে ছিল এভিন লুইস, হার্দিক পান্ডিয়াদের পারফরম্যান্সও। কোহলির লড়াই ছিল একার।

আগের তিন ম্যাচের দুটি শেষ বলে হেরেছিল মুম্বাই, এক ম্যাচে শেষের আগের বলে। এই ম্যাচে জয়টা সহজ হলেও মুম্বাইয়ের শুরুটা ছিল দুঃস্বপ্নের মতো। ম্যাচের প্রথম দুই বলেই সূর্যকুমার যাদব ও ইশান কিশানকে বোল্ড করে দেন উমেশ যাদব।

তবে সেই ধাক্কায় ভেঙে পড়েনি মুম্বাই। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের পাল্টা জবাব দেন এভিন লুইস। সঙ্গ দেন রোহিত শর্মা। তৃতীয় উইকেটে দুজন গড়েন ৬৬ বলে ১০৮ রানের জুটি। ৬ চার ও ৫ ছক্কায় ৪২ বলে ৬৫ করে আউট হন লুইস।

লুইসের বিদায়ের পর ঝড় তোলেন রোহিত। ১০ চার ও ৫ ছক্কায় মুম্বাই অধিনায়ক করেন ৫২ বলে ৯৪। শেষ দিকে ২ ছক্কায় ৫ বলে ১৭ করেন হার্দিক পান্ডিয়া। শেষ ৫ ওভারে মুম্বাই তোলে ৭০ রান।

বড় রান তাড়ায় বেঙ্গালুরুর শুরুটা হয়েছিল দারুণ। বিরাট কোহলি ও কুইন্টন ডি কক ৪ ওভারে তোলেন ৪০ রান।

এই ম্যাচ দিয়ে একাদশে ফেরা মিচেল ম্যাকক্লেনাগন বেঙ্গালুরুকে জোর ধাক্কা দেন পঞ্চম ওভারে। এক ওভারেই ফেরান ডি কক ও এবি ডি ভিলিয়ার্সকে।

পরে ক্রুনাল পান্ডিয়া পরপর দুই বলে ফেরান মানদিপ সিং ও কোরি অ্যান্ডারসনকে। বেঙ্গালুরুর রান তাড়ার আশা শেষ তখনই।

কোহলি এক প্রান্তে খেলে গেছেন নিজের মত। আর কেউ করতে পারেনি ২০ রানও। শেষ পর্যন্ত কোহলির দারুণ অপরাজিত ইনিংসেই কমেছে ব্যবধান। তার পরও মুম্বাইয়ের জয়টা ছিল অনায়াসই।